ডিজিটাল পদচিহ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় ডিজিটাল নাগরিকত্বের বিকাশ

ভেরোনিকা কলোনড্যাম
ভেরোনিকা কলোনড্যাম
প্র্রতিষ্ঠাতা/সিইও, ওয়াইসিএবি ফাউন্ডেশন |

গত কয়েক বছর ধরে সব রকম ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছি। আমরা এখন সত্যিকার অর্থে একটি বৈশ্বিক সমাজে বাস করছি, যেখান থেকে আমরা চাওয়া মাত্রই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি।

তরুণ বা প্রবীণ সব প্রজন্মই কিন্তু ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই মিলে পরিণত হয়েছি ডিজিটাল নাগরিকে, বুঝে হোক কি না বুঝে।

তবে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের এই দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যাপক সতর্ক ও চিন্তাশীল হতে হবে। এ কারণে ভুল তথ্য ও সাইবার বুলিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, বিশেষ করে ‘থিংক বিফোর ইউ শেয়ার’-এর মতো সফল কর্মসূচিতে ফেসবুকের সঙ্গে সহযোগী হয়ে কাজ করতে পেরে ওয়াইসিএবি সম্মানিত বোধ করছে।

শিক্ষার কোনো সীমা নেই। ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আগের চেয়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছি, তাদের শেখাতে পেরেছি। 'লাজু ডিজিটাল' নামে ওয়াইসিএবি ও ফেসবুকের মধ্যে যে অংশীদারত্ব হয়েছে, তাতে সমাজের বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার ও লোকজনের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তারা এখন নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। সেখানে তারা সংঘবদ্ধ হয়েছে, নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রচার ও যোগাযোগ করছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারছে।

ওয়াইসিএবি বিশ্বাস করে, ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে শিক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার। ফেসবুকের সঙ্গে অংশীদারত্বে সেটি আরও কার্যকর ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

তরুণ বা প্রবীণ সব প্রজন্মই কিন্তু ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই মিলে পরিণত হয়েছি ডিজিটাল নাগরিকে, বুঝে হোক কি না বুঝে।

- ভেরোনিকা কলোনড্যাম, ২০১৯