গোপনীয়তা ও ডিজিটাল নাগরিকত্বের সম্পর্ক নির্ণয়
গোপনীয়তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।
আপনি কী ধরনের তথ্য অন্যের সঙ্গে শেয়ার করছেন, তা ভালোভাবে বুঝতে হবে। যে ডিভাইস ব্যবহার করছেন তা কীভাবে কাজ করে, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে, কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে নিজের তথ্য অনলাইনে নিরাপদে রাখা যায়, সেগুলো জানতে হবে। নিজেকে শিক্ষিত করতে আগ্রহী হয়ে ওঠাকেই ডিজিটাল নাগরিকত্বের শুরু হিসেবে ধরা যায়। যতটুকু তথ্য হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে, ব্যবহার করতে হবে তার পুরোটাই।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রাইভেসির বেসিক রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক আলোচিত নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। গোপনীয়তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের প্রফাইলে কী কী পোস্ট হচ্ছে, কে কে তা দেখতে পারবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রাইভেসি শর্টকাট নামে একটি মেুন্য আছে, যেখানে প্রাইভেসি সেটিংস পর্যালোচনা ও আপডেট করা যায়। অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করা বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করার ব্যবস্থা আছে। শেয়ার করা বিষয়বস্তু রিভিউ কিংবা চাইলে ডিলিটও করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আমরা যে তথ্য ব্যবহার করি, তাও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ভালো ডিজিটাল নাগরিক হওয়ার অর্থ, আমাদের নিজস্ব অনলাইন গোপনীয়তা রক্ষা করা। আমরা আশা করি, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের চারদিকে যেসব তথ্য আছে, তা সবার হাতের নাগালে আসবে। নিজেদের সুরক্ষিত করার জন্য দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে পদক্ষেপগুলো সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।
নিজেকে শিক্ষিত করতে আগ্রহী হয়ে ওঠাকেই ডিজিটাল নাগরিকত্বের শুরু হিসেবে ধরা যায়। যতটুকু তথ্য হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে, ব্যবহার করতে হবে তার পুরোটাই।