ইতিবাচক আচরণ

ইতিবাচক ডিজিটাল পদচিহ্নের গুরুত্ব

রিস্তানদ্য লক্ষ্মী গুপিতা
রিস্তানদ্য লক্ষ্মী গুপিতা
গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপক, সাইবারক্রেইজি |

আজকের যুগে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই ডিজিটালাইজেশন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সঙ্গে কমবেশি পরিচিত।

অন্তত একটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফরমে প্রত্যেকেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনেককেই দেখা যায় কী শেয়ার করবে, তার কী প্রভাব, তা নিয়ে সচেতন নয়। কিন্তু ডিজিটাল পদচিহ্নের বিষয়ে অবশ্যই সবাইকে শিক্ষিত করে তোলা জরুরি।

ডিজিটাল পদচিহ্ন মানুষের অনলাইন আচরণের প্রমাণ। আপনি ইন্টারনেটে যা পোস্ট করেন, তা আপনার সম্পর্কে অন্যদের ধারণা দেয়। পুরনো পোস্ট মুছে ফেলেও সহজে সেই পদচিহ্ন লুকানো সম্ভব নয়। একবার প্রকাশ করে ফেললে, তা ইন্টারনেটে থেকে যায়। পোস্টগুলো নিয়ে অন্যরা কে কী করবে, তা কখনই পুরোপুরি আমরা জানতে পারব না। কাজেই ইতিবাচক ডিজিটাল পদচিহ্ন তৈরি করে রাখাই মঙ্গল।

কিন্তু কীভাবে? উত্তরটি সহজ। যে কোনো বিষয় শেয়ার করার আগেই চিন্তা করে নিতে হবে, পোস্টটি শেয়ার করা হলে, কী কী প্রভাব তৈরি হবে, নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কিনা।

ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপক বিকাশের ধারাবাহিকতায় ইন্দোনেশিয়ার সরকার, সিএসও, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ মিলে 'সাইবারক্রেইজি’ নামের এই সহযোগিতা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে। লক্ষ্য ছিল, মানুষের ডিজিটাল সাক্ষরতার উন্নতি করা এবং ইতিবাচক ঘটনা ব্যাপকভাবে কার্যকর উপায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। 'আসাহ ডিজিটাল' কর্মসূচিতে ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারত্বের সুবাদে আমাদের বিশ্বাস, তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল সাক্ষরতার পথে আমরা বড় রকম অগ্রগতি ঘটাতে পারব।

অনেককেই দেখা যায় কী শেয়ার করবে, তার কী প্রভাব, তা নিয়ে সচেতন নয়। কিন্তু ডিজিটাল পদচিহ্নের বিষয়ে অবশ্যই সবাইকে শিক্ষিত করে তোলা জরুরি।

- রিস্তানদ্য লক্ষ্মী গুপিতা, ২০১৯